
নামে ‘ফিশ’ বা ‘মাছ’ ডাকা হলেও অমেরুদণ্ডী একটি প্রাণী জেলিফিশ, যা সব মহাসাগরে দেখা যায়। গেলো ১৩ জুলাই জীববিজ্ঞানী লিজি ড্যালি খুঁজে পান তেমনই এক জেলিফিশ, যা বিশাল আকৃতির।
জানা গেছে, মেরিন কনজারভেশন সোসাইটির একটি প্রচারণামূলক কাজে ব্রিটেনের কর্নওয়াল উপকূলে ডুবুরির কাজ করছিলেন লিজি ডেলি। আর তখনই মুখোমুখি হন বিশাল জেলিফিশটির। শুরুতে চমকে গেলেও দ্রুত সহকর্মী ড্যান অ্যাবোটকে এটিকে ক্যামেরাবন্দি করার ইশারা দেন।
লিজি গণমাধ্যমে জানান, এমন কিছু আশা করিনি, তবে এই অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। “এত বড় জেলিফিশ জীবনেও দেখিনি, ব্যাপারটি রীতিমতো শ্বাসরুদ্ধকর ছিল” উল্লেখ করেন সাগরতলের আলোকচিত্রী অ্যাবোটও।
জীব-বিজ্ঞানীদের তথ্য, ব্যারেল জেলিফিশের আকার শুরুতে থাকে এক মিলিমিটারেরও কম। তবে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায়। জেলিফিশ ছোট মাছসহ নানান সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে থাকে। ব্রিটিশ সাগরে ব্যারেল জেলিফিশকে এই প্রজাতির মধ্যে সবচে বড় বলে অভিহিত করা হয়। তবে সবসময় দেখা মেলে না এটি আর ক্যামেরা বন্দি করা তো সৌভাগ্যের বিষয়। লম্বা কর্ষিকা বিশিষ্ট জেলিফিশের চেয়ে ব্যারেল জেলিফিশের কাঁটাগুলো বেশি বিপদজনক।

তবে লিজি ডেলি জানান, জেলিফিশটির কাছে যাওয়ার সময় একটুও ভয় লাগেনি। আশা করি ভিডিওটি অন্যদের সাগরের ব্যাপারে উৎসাহিত করবে।
বিজ্ঞানীরা জানান, জেলিফিশকে সামুদ্রিক ভীমরুল বলেও আখ্যায়িত করা হয়। এদের জীবনকাল কয়েকঘন্টা থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত হতে পারে। প্রজাতিভেদে জীবনকাল ও দোহবয়ব ভিন্ন। বেশিরভাগ জেলিফিশ সামুদ্রিক জীব হলেও স্বাদুপানিতেও কিছু দেখা যায়। কিছু জেলিফিশ আবার শুধু লেকেই বাস করে।
এছাড়া জেলিফিশের আরেক প্রজাতি হলো অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশ, এটির কর্ষিকার বিষ ৬০ জন মানুষ হত্যা করতে সক্ষম। একে মৃত্যুর বাক্সও বলা হয়। এর আছে লম্বা কর্ষিকা যা নেমাটোসিস্ট ও বিষ বহন করে। এর হুলের আঘাত প্রাণঘাতী হতে পারে, মাত্র চার মিনিটেই মেরেও ফেলতে পারে শিকারকে। এগুলোর বিষরোধক ব্যবস্থা এখনো আবিষ্কার হয়নি।