
বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তরপাড়ে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নবাবেরচর এলাকায় ৪৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
তিনি জানান, দুটি সাততলা ভবন, একটি দোতলা, পাঁচটি একতলা, ১২ টি আধাপাকা, ১৯টি টিনের ঘর এবং আটটি দোকান ঘর উচ্ছেদ করা হয়। “বুধবার সকাল ৯টা থেকে বাদামতলী থেকে শুরু হয়ে সদরঘাট শ্যামবাজার হয়ে শ্বশানঘাট অভিমুখে বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলবে” জানান তিনি।
নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য সীমানা পিলার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে কাজ করছে বিআইডাব্লিউটিএ। তাই এখন থেকে কাউকে আর সময় বা সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানান এ কে এম আরিফ উদ্দিন। “নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য নদীতে সীমানা পিলার স্থাপন করতে হবে। সীমানা পিলার সঠিক স্থানে বসাতে দোকানপাট, স্থাপনাগুলো ভাঙতে হচ্ছে” উল্লেখ করেন তিনি।
আরিফ উদ্দিন জানান, তুরাগ এবং বালু নদীর তীরভূমিতে অবৈধ স্থাপনাগুলো এরই মধ্যে উচ্ছেদ হয়েছে। তবে বুড়িগঙ্গার কিছু অংশ এখনো উচ্ছেদের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। চতুর্থ পর্বের অভিযানে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। “কিছু পরিমাণ জায়গা আদালতের স্থতিগাদেশের কারণে আপাতত উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে শিগগিরই সকল স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হবে” জানান সংস্থাটির এই যুগ্ম পরিচালক।