বাংলাদেশে কক্সবাজার জেলায় একটি বন্যহাতির বাচ্চার পাহাড় থেকে মারা গেছে বলে দাবি বনবিভাগের। ২১ নভেম্বর সকালে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতঘরিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিকেল চারটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়নাতদন্তের কাজ শুরু করেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, পাহাড়ের খাদ দিয়ে নিচে নামার সময় বাচ্চা হাতিটি পা পিছলে ৩০ থেকে ৪০ ফুট নিচের একটি ঝিরিতে পড়ে মারা গেছে। হাতির বয়স তিন থেকে চার বছর হতে পারে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে সাতঘরিয়াপাড়া সংলগ্ন ক্লিব্বা পাহাড়ের খাদের একটি পাহাড়ি ঝিরিতে বাচ্চা হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন কাঠুরিয়া। এরপর হাতির মৃত্যুর খবর বনবিভাগের কর্মীদের জানানো হয়। বেলা ১১টায় স্থানীয় ফুলছড়ি রেঞ্জের রাজঘাট বন বিট কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত বাচ্চা হাতিটিকে দেখতে পায়।
রাজঘাট বিট কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, মৃত হাতিটি পুরুষ জাতের। এটির দৈর্ঘ্য ৭ ফুট, প্রস্থ ৫ ফুট ও শুঁড় আড়াই ফুট। বয়স তিন থেকে চার বছর হতে পারে।
সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) প্রান্তোষ চন্দ্র রায় ও ফুলছড়ির বন রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বলেন, পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে নামার সময় পা পিছলে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাতির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বন বিভাগের কর্মীরা বলেন, গত এক বছরে বনাঞ্চলে তিনটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন খেতের ফসল রক্ষার জন্য গুলি করে কিংবা বৈদ্যুতিক তারে ফাঁদ বসিয়ে হাতি হত্যা করছে। হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সম্প্রতি রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া উপজেলায় একাধিকবার হাতির সুরক্ষায় সচেতনতামূলক সভা ও সমাবেশ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহ ধরে বন্যহাতি মারা যাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটিসহ এ মাসে মারা গেছে মোট সাতটি বুনো হাতি।