বন্যহাতি হত্যা করে মাটিচাপা, দুর্গন্ধে ঘটনা ফাঁস!

বাঁশখালীতে হাতি হত্যার পর মরদেহ পুঁতে রাখার এলাকা চিহ্নিত। ছবি: সংগৃহীত

হত্যার পর মাটি চাপা দেয়া একটি হাতির সন্ধানে নেমেছে বাংলাদেশ বনবিভাগ। ১৩ জুন, শনিবার এ দেশের চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের পাথারিয়া খোলা নামক স্থানে মরদেহের দুর্গন্ধ ছড়ালে হাতি হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।

জানা গেছে, শনিবার (১৩ জুন) পাহাড়ে জমিতে কৃষকরা চাষের কাজে গেলে দুর্গন্ধ অনুভব করেন। পরে দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে মৃত হাতি মাটিচাপা দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কয়েকদিন আগে পাহাড়ি বাগানে আসা হাাতিটিকে বিষাক্ত কাঁঠাল খাইয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করে স্থানীয় কিছু লোক। পরে অভ্যারখীল এলাকার আবদুল আলিমের জায়গায় পুঁতে ফেলা হয় হাতিটি।

বনকর্মকর্তারা জানান, রোববার (১৪ জুন) মাটিচাপা দেয়া হাতিটির মরদেহ তুলে নমুনা সংগ্রহ করে আবারো মাঠিচাপা দেয়া হবে।শনিবার বনবিভাগের কর্মীরা দুর্গন্ধ ছড়ানো এলাকাটি চিহ্নিত করেছে বলে জানান বনবিট কর্মকর্তা নেজাম উদ্দীন ও আব্দুর রশিদ। আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হাতিটি হত্যা করে মাঠিচাপা দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।

জলদী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকো-পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মু. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, গত কয়েকদিন আগে হয়তো হাতিটিকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে হাতি মৃত্যু বিষয়টি ফাঁস হয়।

একইদিন (১৩ জুন) বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় একটি বন্যহাতি মারা যায়। তবে প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ইসহাক আলী ময়নাতদন্ত করে জানান, ক্ষুদা মন্দা ও অপুষ্টির কারণে মারা গেছে। এর আগে ১২ জুন, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি বন্যহাতি বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। এনিয়ে দুদিনে তিনটি হাতির মৃত্যু হলো বাংলাদেশে।