তরল বর্জ্য নি:সরণ করে হালদা নদী দূষণের অভিযোগে হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার শুনানি শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলেরপ পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন এ নির্দেশ দেন।
“পরিদর্শনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপরিশোধিত বর্জ্যে নদী দূষণের প্রমাণ মিলেছে,” তিনি বলেন, তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণ এবং অয়েল সেপারেটর কার্যকর না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুনানিতে হাটহাজারী পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক শফিউদ্দিন আহমদ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মো. এরফানুল কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
গেলো ৯ জুলাই হাটহাজারীর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বর্জ্য তেলে হালদা দূষণের প্রমাণ পাওয়ার পর ওইদিনই অধিপ্তরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষকে ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হতে নোটিস দেন।
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেছিলেন, বেশি বৃষ্টি হলেই গোপনে বর্জ্য তেল ছেড়ে দেয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
তবে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে তেল ছাড়া হয়নি’ বলে ওই সময় গণমাধ্যমে দাবি করেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফি উদ্দিন আহমদ।
২০১২ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর ওই বছরই দুই দফা কেন্দ্রটিকে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে নোটিস দেয়া হলেও, নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ওইসময় দূষণের অভিযোগে প্ল্যান্টটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইটিপি নির্মাণের শর্তে জরিমানা মওকুফ করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইটিপির নকশার অনুমোদন নেওয়া হলেও তা এখনও নির্মাণ করা হয়নি।