বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় একটি মহিষ ’পাগল’ হয়ে একজনকে নিহত ও বেশ কয়েকজনকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। ১৯ ঘন্টা চেষ্টার পর চেতনানাশক ওষুধ বিশিষ্ট বন্দুক দিয়ে গুলি করে মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনে বনবিভাগ। পরে মহিষটিকে জবাই করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
১৪ ডিসেম্বর, সোমবার বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ”মহিষটি বর্তমানে উপজেলার শাকপুরা চৌমুহনী বাজারের একটি বিলে অবস্থান করছিল। বনবিভাগসহ সমস্ত প্রশাসন রাতভর চেষ্টা করেও সেটিকে বাগে আনতে পারেনি।”
সম্মিলিতভাবে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের টানা ১৯ ঘণ্টা চেষ্টার পরও মহিষটিকে বাগে আনতে না পেরে চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করতে বাধ্য হয় বলে জানান তিনি। ওই ক্ষ্যাপাটে মহিষের আঘাতে একজনের প্রাণহানি হয়, আহত হন আরো অন্তত ১৫-২০ জন।
বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস বলেন, রাতে বনবিভাগ বেশ কয়েকবার চেতনানাশক ওষুধ বিশিষ্ট বন্দুক থেকে গুলি করেছে। কিন্তু মহিষটির গায়ে লাগানো যায়নি। অবশেষে সোমবার দুপুরের দিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় মহিষটিকে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর, রোববার বিকেলে বোয়ালখালীর পৌরসভার বহদ্দারপাড়া এলাকার একটি ব্যক্তির মালিকানাধীন মহিষ হঠাৎ সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করতে থাকে। এতে পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে গোমদণ্ডী ফুলতলা এলাকায় মহিষের আক্রমণে মো. ইসমাইল ৫০ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ সময় পশুটির আক্রমণে অন্তত ১০ জন আহত হন।গুরুতর আহত তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন জানান, মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার পর জবাই করে দেহ মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। নিহত ইসমাইলের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।