চীনে প্রাণী সম্পদ হিসেবে কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি দেশটির সরকারের বরাত দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিপেডেন্ট।
গত ৯ই এপ্রিল প্রকাশিত খবরে বলা হয়, চীনের শেনজেন শহরে আগেই কুকুর-বিড়ালের মাংস নিষিদ্ধ হয়েছিল। এবার সারাদেশে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে কুকুরের মাংস। চীন সরকার জানিয়েছে, প্রাণী সম্পদ হিসেবে কুকুরকে আর গণ্য করা হবে না। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের তালিকা থেকেও কুকুরের নাম বাদ দিয়ে পোষা প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দেশটি।
খবরে বলা হয়, পোষা হিসেবে কুকুর ও বিড়ালের সঙ্গে মানুষের মেলামেশা অনেক বেশি। উন্নত দেশগুলোতে এমনকি হংকং এবং তাইওয়ানেও নিষিদ্ধ কুকুরের মাংস খাওয়া। গত ফেব্রুয়ারি মাসে চীন সরকার সব রকম বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অবশ্য এরপরও দেশটির বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি চলছিল।
মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইনে বলা হয়, মানব সভ্যতার বিকাশের সঙ্গেই কুকুর হয়ে উঠেছে সহচর প্রাণী। এখন থেকে আর ‘লাইভস্টক’ হিসেবে গণ্য করা হবে না প্রাণীটিকে। এই মর্মে একটি সরকারি নির্দেশনাও প্রকাশিত হয়েছে। শুধু কুকুর নয়, একইসঙ্গে বিড়ালের মাংস বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে শহর-প্রশাসন। এবার তা পুরো চীনেই কার্যকর হচ্ছে।
কুকুর-বিড়ালের মাংস বিক্রির নিষিদ্ধ করার পথটি দেখিয়েছিল, চীনের শেনজেন শহরের স্থানীয় প্রশাসন। করোনা ভাইরাস নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই কিছুদিন আগে শহরে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী পহেলা মে থেকে শহরটিতে কুকুর ও বিড়ালের মাংস আর খাওয়া যাবে না। ফলে কুকুর-বিড়াল মেরে বিক্রিও করা যাবে না। এটি কার্যকর হবার আগেই অবশ্য চীন সরকার ‘পোষ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কুকুরকে।
প্রসঙ্গত, উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলেও গবেষকদের একাংশ মনে করেন, বাদুর বা ওই জাতীয় কোনো প্রাণী থেকেই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এরপর থেকেই চীনের সমালোচনায় সরব হয়েছিল বহু দেশের মানুষ।