বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মাটিকাটা এলাকায় বসবাস করেন সাংবাদিক ফারহানা হক নীলা। করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিকালে অন্যদিনের মতো বাসায় কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। এমন সময় কিছুদিন আগে নীলার বাসায় আশ্রয় নেয়া দুটি বিড়াল এসে তাঁর পরনের স্কার্টটি ধরে টানছিল। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো খাবার চাইছে। তাই যখনই তিনি চেয়ার থেকে উঠে বিড়াল দুটির জন্য খাবার আনতে যাচ্ছিলেন তখনি ঘটলো বিপত্তি।
৭ জুন, রোবাবর রাতে ফেসবুক পোস্টে ফারহানা হক নীলা জানান, চেয়ার থেকে উঠে রুম থেকে বের হওয়ার সময়ে বিকট শব্দে ভেঙ্গে পড়ে মাথার ওপর ঘুরতে থাকা সিলিং ফ্যানটি। যদি তিনি চেয়ারে থাকতেন তবে পাখার আঘাতে মৃত্যু ঘটতে পারতো তার।
ঘটনা বর্ণনা করে নীলা আরো লিখেন, ”পিসিতে বসে কাজ করছিলাম; হঠাৎ মা বিড়াল আর বাচ্চা বিড়াল এসে আমারে স্কার্ট কামড়ে ধরে টানছিলো। ওরা আমার পোষা নয় তবে আমার বাসাতেই বাচ্চাগুলোর জন্ম হয়েছিল। ভাবলাম, কাল একবার বিস্কিট খেতে দিয়েছিলাম আজ বোধহয় আবার বিস্কিট খেতে চাচ্ছে। চেয়ার থেকে ২ পা সামনে এগোতে বিকট শব্দ। ভয়ে চিৎকার করে উঠলাম কে কে বলে।”
”প্রথমে ভেবেছি কেউ জানলার গ্লাস ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। পরে ভেবেছি কম্পিউটার বাস্ট হয়ে গেছে। খুব ভয়ে ভয়ে রুমের দরজার দিকে আগালাম। দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। ঠিক আমার মাথার উপরে থাকা ফুল স্পিডে চলন্ত ফ্যান ছিড়ে মাটিতে পড়ে গেছে। প্রায় ১০/১৫ মিনিট পর স্বাভাবিক হলাম। আর একটু দেরি হলেই, কি হতো!? ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পর বিড়াল দুটি স্বাভাবিক,” যোগ করেন নীলা।
বাংলাদেশের এই সাংবাদিক জানান, “প্রায় এক মাস আগে মা বিড়ালটা আমার রুমে খাটের নীচেই চারটি বাচ্চার জন্ম দেয়। এ মাসের শুরুর দিকে বাচ্চাগুলো হাঁটা শিখলে আমার ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় পানির মেশিনের জালি ঘরে থাকে আর চলাফেরা করে। আজ হঠাৎ এই মা বিড়াল আর একটা বাচ্চা জানালা দিয়ে এসে ঢুকে আমাকে বাঁচায়ে দিয়ে গেল। সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।”
এ ঘটনাটিকে মানুষের প্রতি প্রাণীতের ভালোবাসার বর্হিপ্রকাশ হিসেবে অবহিত করেছেন অনেকেই। পাশাপাশি মানুষের সুরক্ষায় প্রাণী সংরক্ষণ জরুরি বলে মনে করেন সংরক্ষণ কর্মীরা।