
বছরে তিন’শ দিনের বেশি রোদ থাকায় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই জ্বালানী ব্যবস্থার অন্যতম দেশ হয়ে উঠেতে পারে বাংলাদেশ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি’র এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গেল ১২ জানুয়ারি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী টিভির এক প্রতিবেদনে সেই সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সৌরবিদ্যুত বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শহর বা গ্রাম, বিশেষ করে চরাঞ্চল ও দুর্গম এলাকায়ও বাড়ছে এই বিদ্যুতের ব্যবহার। উৎপাদন খরচ তুলনামুল কম হওয়াতে আশার আলোও দেখাচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ খাত। ইতিমধ্যে দেশের ৬৮ লাখ বাড়িঘরে বসেছে সোলার হোম সিস্টেম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরে তিন’শ দিনের বেশি রোদ থাকায় সৌর বিদ্যুত খাত আশাবাদী করছে। পাশাপাশি কার্বণ নিঃসরণ করে না এমন পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই জ্বালানী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানীকে অন্যতম বিকল্পও মনে করছেন তারা।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে তেল ও কয়লার ব্যবহার ২০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ সরকার। ফলে বছরে অন্তত ৯৫ মিলিয়ন টন তেলের সমপরিমাণ জ্বালানি সাশ্রয় হবে। বছরে আর্থিক সাশ্রয় হবে পাঁচ হাজার একশ কোটি টাকা।
এই লক্ষ্য সামনে রেখে সৌর, বায়ু, জল ও বর্জ্যসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানির পুরো ব্যবস্থাপনা টেকসই করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে নীতিগত জটিলতা থাকায় এই খাতে কাঙ্খিত বিনিয়োগ হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে সাফল্য পেতে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে জোর দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে জোর দিচ্ছেন জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্টরা।