
বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলায় ৫০টি ডাহুক পাখি হত্যাকারী শওকত ফকিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অপরাধীকে গ্রেপ্তারে চলছে জোর তৎপরতা। তবে এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক আসামি শওকত।
জানা গেছে, গত ৯ জুন, মঙ্গলবার ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রায় ৫০টি ডাহুক পাখি হত্যার অভিযোগ উঠে স্থানীয় পাখি বিক্রেতা শওকত ফকিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১০ জুন, বুধবার ফরিদপুরের সংশ্লিষ্ট আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট অরূপ কুমার বসাক স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করেন।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রায় ৫০টি ডাহুক পাখি হত্যার সংবাদটি সঠিক হলে তা একদিকে যেমন গর্হিত কাজ তেমনি “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২” এর ৩৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে ২৪ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকেও নির্দেশনা প্রদান করেন আদালত।
আদালতের মামলার পর স্থানীয় সচেতন যুব সমাজের একাংশ, প্রকৃতিপ্রেমী, বনবিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা একযোগে অপরাধীকে খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন।
বন বিভাগের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম জানান, প্রকৃতি ও পরিবেশের শত্রুদের সঙ্গে কোনো আপোষ করা হবে না, ক্ষমা করা হবে না। এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।
অপরাধ উদঘাটন ও আইনের আওতায় আনতে যারা সহযোগিতা করেছেন এবং করছেন সকলকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান মোল্লা রেজাউল করিম।