রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমে থাকে ময়লার স্তূপ। প্রতিদিনই সাফ করার নিয়ম থাকলেও অনেক এলাকাতেই ময়লা পরিষ্কারের রেওয়াজই নেই যেন। এ কারণে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পরিবেশ-প্রতিবেশে পড়ছে বিরুপ প্রভাব। এতেই সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গুসহ ভয়াবহ রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা, অভিযোগ পরিবেশবিদদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরিচ্ছন্নতার কাজ করে যাবার পরও আবর্জনা স্তূপ থাকে সড়কগুলোতে। তেমনই একটি সড়ক রাজধানীর জুরাইন-গেন্ডারিয়া সড়ক, রোজই পরিষ্কার করা হলেও রয়েছে ময়লার ভাগাড়। জুরাইন ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক আর বংশালের মাঠ যেন মশার আঁতুড়ঘর।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পুরো মাসেও আমি এই রাস্তা পরিষ্কার করতে দেখি না। অভিযোগ করলে নানান অজুহাত দেখায়। এই অসুস্থ, এই এটা নাই, ওটা নাই।
গেলো এক সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে নতুন ওয়ার্ডগুলোতো বটেই এমন বেহাল দশা দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, লালবাগ, কাঁঠাল বাগান, বনশ্রী ও ধানমণ্ডিসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকায়।
উত্তর সিটি কিছুটা পরিচ্ছন্ন হলেও মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় নিয়মিত বর্জ্য পরিষ্কার করতে দেখা যায়নি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের।
উত্তর সিটির এক বাসিন্দা বলেন, সরকার টাকা তো ঠিকই নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সপ্তাহে আসে না তিনদিনও।
অবশ্য সিটি কর্পোরেশনের মাঠকর্মীরা দুষলেন জনবল ও সরঞ্জাম সংকটকে। তবে পরিবেশবিদরা মতে, সংকট সমাধানে তৎপরতা নেই নগর প্রশাসনের। এতে ছড়াচ্ছে দূষণজনিত রোগ-ব্যাধি।
বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ঢাকা শহরে এখন মহামারী অবস্থা। নগর প্রশাসন একটু নজর দিলেই দূষণজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
“কিন্তু এখন যা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে বর্জ্য ব্যাস্থাপনা নিয়েও আমাদের কোর্টে যেতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ততার অযুহাতে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন ঢাকা দক্ষিণ সিটির কোনো কর্মকর্তারা।
তবে উত্তরের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক মঞ্জুর হোসেন বলেন, “এখন মানুষ সচেতন হওয়ায় নিজ বাসাবাড়ি পরিস্কার করছেন। এতে বর্জ্যের পরিমাণ আগে থেকে বেড়েছে। তাই একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে।
“বর্জ্যব্যবস্থাপনাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি,” উল্লেখ করেন মঞ্জুর হোসেন।