মারাই গেল সেই বন্যহাতি!

মারা যাওয়া বুনো হাতিটি।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা বাগান এলাকায় কাদায় আটকে আহত হওয়া বুনো হাতিটি মারা গেছে। ২৮ মে, শনিবার ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় প্রাণীটি। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় সাধারণ অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রায় ১০ বছর বয়সী হাতিটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় গত ২২ মে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছিল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যসচিব ও পার্কের বন্যপ্রাণী চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকার নাইন বলেন, এখানে আনার পর থেকেই হাতিটি অনেকটাই চলনশক্তিহীন অবস্থায় ছিল। বয়স অনুপাতে হাতিটির যে পরিমাণ খাবার গ্রহণের কথা ছিল, তার চেয়ে খুব কম গ্রহণ করত।”

তিনি জানান, অনেক সময় মুখ থেকে খাবার ফেলে দিত। এ ছাড়া অসুস্থ হওয়ার পর থেকে হাতিটির পায়খানা-প্রস্রাব বন্ধ ছিল। এই অবস্থায় পার্ক কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে হাতিটির চিকিৎসাসেবায়। শেষ পর্যন্ত এটির জীবন বাঁচানো যায়নি।

এ ‍নিয়ে গত ১১ মে ‘বন্যহাতির আকুতি, সিদ্ধান্তহীনতায় বন বিভাগ!’ ও ১৩ মে `বন্যহাতি জামিলা’র আকুতি শুনেছে বন বিভাগ!‘ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করে বেঙ্গল ডিসকাভার। ডুলাহাজারায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে নেয়ার পর হাতিটিকে পার্কের হাতির গোদা নামক স্থানে রেখে নিয়মিত নজরদারিতে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, গত ৩০ এপ্রিল বুনো হাতিটিকে কাদায় আটকে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কিন্তু হাতিটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং কাদায় আটকে পড়া অবস্থায় মুখ দিয়ে শরীরের ভেতর কাদামাটি ঢুকে পড়েছিল। তাই চিকিৎসার জন্য কোদালা বন বিটের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। সেখানে পার্কের ভেটেরিনারি সার্জনের নেতৃত্বে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে আশানুরূপ ফল না আসায় প্রধান বন সংরক্ষকের নির্দেশে হাতিটিকে পাঠানো হয় সাফারি পার্কে।