বরফের দেশ হিসেবে পরিচিত অ্যান্টার্কটিকা। তবে এই অঞ্চলটির সেই শীতলতা দিন দিন কমছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার সঙ্গে টেক্কা দিয়ে বাড়ছে পৃথিবীর সবচে শীতল মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা। এতে ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে।
অস্বাভাবিক হারে অ্যান্টার্কটিকায় বরফ গলতে শুরু করায় বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও। এতে বড় ধরণের হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ববাসী।
সম্প্রতি জনশুন্য অ্যান্টার্কটিকা উষ্ণতম তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়েছে। আর্জেন্টিনার রিসার্চ স্টেশনের থার্মোমিটার থেকে মহাদেশটিতে ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা আগের রেকর্ডের চেয়ে শুন্য দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
পরিবেশ বিজ্ঞানী জেমস রেনউইক বলেন, মাত্র পাঁচ বছরে আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন করে প্রায় এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ইঙ্গিত করছে কত দ্রুত বাড়ছে এখানকার তাপমাত্রা। আর দিন দিন বড় বিপদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিশ্ববাসী।
এর আগে ২০১৫ সালে অঞ্চরটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অ্যান্টার্কটিকার পেনিনসুলা হলো পৃথিবীর মধ্যে সবচে দ্রুত উষ্ণ হওয়া স্থান। গত ৫০ বছরে এখানকার তাপমাত্রা গড়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বেড়েছে।
সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ান এক খবরে জানায়, গত ১০০ বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় তিন মিটার অর্থ্যাৎ ১০ ফুট বেড়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণতার সঙ্গে দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে উত্তরমেরুতেও। এ কারণে গলছে বরফ। আর বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। আর্জেন্টিনার আবহাওয়া সংস্থা জানায়, ১৯৬১ সাল পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রার তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। যা নতুন এই তথ্য বিশ্লেষণে ব্যবহার করা হয়।
জলবায়ু বিজ্ঞানী ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের গবেষক জেমস রেনউইক বলেন, তাপমাত্রার এ পরিমাণ বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। পাঁচ বছরের মধ্যে এতো দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা একটি সতর্কবার্তা। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার চেয়েো দ্রুত গতিতে বাড়ছে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা।