২১ জুন সূর্যের বলয়গ্রাস, দেখা যাবে বাংলাদেশ-ভারতেও

ফাইল ছবি

২১ জুন, রোববার হতে যাচ্ছে বছরের দীর্ঘতম দিন বা কর্কটক্রান্তি দিবস। আর এদিনই হবে ২০২০ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণকে বলয়গ্রাস গ্রহণ বলে উল্লেখ করেছেন জ্যোতিষ বিজ্ঞানীরা। এটিকে ইংরেজিতে অ্যানুলার সোলার একলিপস বলা হয়।

জানা গেছে, ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও দেখা যাবে এই গ্রহণ। পাশাপাশি আফ্রিকা এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকেও দেখা যাবে সূর্যের বলয়গ্রাস। ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশের মানুষেরা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন বলয়গ্রাসটি।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। দুপুর ১টা ১২ মিনিটে সর্বোচ্চ গ্রহণ এবং শেষ হবে দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে। তবে ভারত, পাকিস্তান, চীন, তাইওয়ান ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ।

ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে শুরু হবে সূর্যগ্রহণ। সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যাবে সকাল ১০টা ১৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে। বেলা ১২টা ১০ মিনিট ৪ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হবে সূর্যগ্রহণ। শেষ হবে দুপুর ২টা ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে।

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ কী?

গ্রহণের সময় আকাশে যখন আগুনের চাকা দেখা যায় তখন তাকে বলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। অর্থাৎ এই গ্রহণে চাঁদের ছায়া সূর্যের ওপর এমনভাবে পড়ে, যাতে সূর্যের চারপাশের আলোর বলয় দেখা যায়। এই গ্রহণে চাঁদের ছায়া সম্পূর্ণভাবে সূর্যকে গ্রাস করতে পারে না। এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর শেষবার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়েছিল।

কীভাবে দেখবেন?

খালি চোখে সূর্যের বলয়গ্রাস দেখা মোটেও নিরাপদ নয়। ব্যবহার করতে চোখ রক্ষা করে এমন বিশেষ যন্ত্র। পিনহোল প্রজেক্টর দিয়ে সাদা দেয়াল বা কাপড়ে গ্রহণের ছায়া ফেলে তা দেখতে পারেন।

অন্য গ্রহণের সঙ্গে পার্থক্য কী?

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদের ছায়া সূর্যকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে ফেলে। এই সময় পৃথিবীতে সম্পূর্ণ অন্ধকার নেমে আসে। আর আংশিক সূর্যগ্রহণে চাঁদের ছায়া সূর্যের কিছুটা অংশ ঢাকতে সক্ষম হয়। তবে বলয়গ্রাস গ্রহণে অমাবস্যার চাঁদ সূর্যকে মাঝখান থেকে ঢেকে ফেলে। তাই তখন পাশ থেকে আলোর মালা প্রতিভাত হয়। এটি রিং অব ফায়ার নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে চাঁদ পৃথিবী থেকে এর দূরতম বিন্দুর কাছাকাছি অবস্থান করে। এ সময় চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য প্রায় সরলরেখায় অবস্থান করে।