বাংলাদেশের শেরপুর জেলায় দশদিনের ব্যবধানে ফের মিলেছে বন্যহাতির মরদেহ। ১৯ নভেম্বর, শুক্রবার সকালে পানিহাতা গ্রামের ফেকামারির এলাকার বাসিন্দারা মৃত হাতিটি দেখতে পান। স্থানীয়দের অভিযোগ গত রাতে কৃষি জমিতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে হত্যা করা হয় হাতটিকে। এ নিয়ে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মারা গেছে ছয়টি বন্যহাতি।
ঘটনাস্থল থেকে বন্যপ্রাণী বিষয়ক আলোচিত্রী শাহানুল করিম চপল বেঙ্গল ডিসকাভার-কে বলেন, ”আমি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মনিরুল এইচ খান এসেছিলাম হাতির ছবি তুলতে। কিন্তু এভাবে হাতির মৃতদেহের ছবি তুলতে হবে ভাবিনি।”
তিনি জানান, ”স্থানীয় বাসিন্দারা জানা গেছে গত রাত আনুমানিক ১২টা নাগাদ জেনারেটরের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করে হত্যা করা হয়েছে হাতিটি। এ সময় হাতির গণনবিদায়ী চিৎকারে পুরো প্রকল্পিত হয়েছিল বলে গ্রামবাসী আমাদের জানিয়েছেন। হাতির শুঁড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। গোপালপুর বনবিভাগের বিট অফিসের পাশেই এ ঘটনাটি ঘটেছে। যা দু:খজনক। এটা খুন, এই খুনের বিচার চাই।”
শাহানুল কমির চপল অভিযোগ করেন, ”পরিকল্পিতভাবে হাতিটিকে হত্যা করে মাটিচাপা দেবার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়াতে মাটিচাপা না দিয়ে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।”
এর আগে গেল ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন গারো পাহাড়ে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে আরো একটি হত্যা করা হয়েছিল। বিদ্যুতের ফাঁদে হাতি হত্যার ঘটনায় ১১ নভেম্বর চারজনের নামে মামলা করেন শ্রীবরদী রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ এই ছয় বছরে দেশে মৃত্যু হয়েছে মোট ৭৫টি বুনো হাতির। তবে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গেল দুই বছরেই মারা গেছে ৩৯টি বন্যহাতি। এরমধ্যে ২০২০ সালে ২২টি ও ২০২১ সালের সাড়ে ১০ মাসে ১৭টি।