আদালতের নির্দেশনা অমান্য, আবারো কুকুর নিধন!

কুমির্লা সিটি করপোরেশন কুকুর নিধনের চিত্র। ছবি: 'প' ফাউন্ডেশন

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে আবারো গণহারে কুকুন নিধনের অভিযোগ বাংলাদেশে। এবার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে। এতে প্রাণিপ্রেমী এবং সংগঠনগুলো ফুঁসে উঠেছে।

বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের নামে গড়পড়তা নিরীহ প্রাণগুলো হত্যায় নিন্দা ও সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

৬ আগস্ট, মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রাণী কল্যাণ সংগঠন ‘প’ ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে জানায়, “কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গণহারে কুকুর নিধনের মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্টের রীট অমান্য করছে।

সংস্থাটি ফেসবুক গ্রুপে নিধনের ভিডিও পোস্ট করে জানায়, “গত ১৫-২০ দিন ধরে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বিচারে কুকুর নিধন করে যাচ্ছে। যা ২০১৪ সালে হাইকোর্টের কুকুর নিধন স্থগিতাদেশকে সম্পূর্ণরূপে অমান্য করা এবং সদ্য পাশ হওয়া প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ এর ধারা ৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

নিধনের উদ্দেশ্যে কুকুর ধরে নেয়ার মুহুর্ত। ছবি: ‘প’ ফাউন্ডেশন

‘প’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাকিবুর হক এমিল বলেন, “আজ ৬ আগস্ট ‘প’ ফাউন্ডেশনের হাতে আসা ভিডিও চিত্রে দেখা যায় কুমিলা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীরা নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে লোহার টং দিয়ে কুকুর ধরে নিয়ে যাচ্ছে। একাজে তাদের বিশেষ পরিবহনও রয়েছে। সবকিছু থেকে প্রতীয়মান হয়, এটি তাদের নিয়মিত প্রকল্প।”

তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলমগীর জানান, তারা হাইকোর্টের রীট সম্পর্কে অবগত আছেন। বিভিন্ন এলাকাবাসীর অভিযোগ পেলেই কুকুর নিধন করা হয়। কতগুলো কুকুর জলাতঙ্ক আক্রান্ত বা কতজন মানুষ জলাতঙ্ক আক্রান্ত হয়েছেন বা কামড়ের স্বীকার হয়েছেন, এই বিষয়েও নেই কোন তথ্য।”

নিধনের উদ্দেশ্যে বন্দি করা কুকুর। ছবি: ‘প’ ফাউন্ডেশন

“কুকুর নিধনে কোন লিখিত অর্ডার ছাড়াই মেয়র এবং কাউন্সিলরদের মৌখিক অনুমতিতে করপোরেশন নিধন করছে,” অভিযোগ ‘প’ ফাউন্ডেশনের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো অভিযোগে, “জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তাহীনতার কোন সঠিক তথ্য, প্রমাণ বা কুকুর জলাতঙ্ক আক্রান্ত কি-না তার প্রমাণ দিতে না পারলেও, শুধুমাত্র কুকুরের প্রতি ঘৃণা পোষণ থেকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বিচারে শত শত কুকুর মেরে ফেলছে।”