দেখতে অনেকটা পোষা বিড়ালের মতো। তবে আকারে এক নয়। বনবিড়াল কিছুটা বড়। তবে খাবার ও আবাস সংকটে বাংলাদেশের বনে কমে আসছে এই প্রজাতির বিড়াল। ইংরেজিতে জাংগাল ক্যাট ও বাংলায় জংলিবিড়াল, খাগড়াবিড়াল ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
গেল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবাটি এলাকা খাবার খোঁজে এসে একটি কারখানার গুদামে আটকা পড়ে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি বনবিড়াল। পরে স্থানীয়রা এটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
উদ্ধারকারী এম এম সাদ বলেন, খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে বনবিড়ালটি। পরে এটি পোশাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের গুদাম থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বনবিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহিরউদ্দিন আকন্দ বলেন, এটি ফিশিং ক্যাট বা মেছো বিড়াল। প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইইউসিন এর তালিকা বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এই বিড়াল। আগামীকাল বৃহষ্পতিবার বনবিড়ালটিকে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বন্যপ্রাণী গবেষকরা বলেন, বনবিড়াল কৃষিবান্ধব। ইঁদুরসহ ফসলের ক্ষতি করে এমন প্রাণী খেয়ে এরা নীরবে এরা কৃষকের উপকার করে। এই বিড়াল নিশাচর। রাতের আধারে গাছে উঠে ছোট পাখি বা পাখির ডিম, ছানা শিকার করে খায়। এক লাফে কয়েক ফুট পৌঁছে যেতে পারে। দিনে লতাপাতাঘেরা বড় গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে বনবিড়াল। প্রজনন মৌসুমে দু’ থেকে চারটি ছানা প্রসব করে বনবিড়াল।
প্রাণিবিদ ড. মনিরুল এইচ খান জানান, বনবিড়াল বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়। গৃহপালিত পশু-পাখি ধরে নিয়ে যায় বলে বনবিড়ালের প্রতি মানুষ অনেকটাই শত্রুভাবাপন্ন।