গণপিটুনি থেকে বেঁচে খাঁচা বন্দি হলো অজগরটি! (ভিডিও)

চট্টগ্রামে উদ্ধার হওয়া অজগরটি। ছবি: সংগৃহীত

খাবারের খোঁজে হয়তো লোকালয়ে ছুটে এসেছিল ৮ ফুট, ৮ কেজি ওজনের অজগরটি। কিন্তু নজর এড়াতে পারেনি মানুষের, দেখামাত্রই পিটিয়ে মেরে ফেলতে উদ্যত হয় বেশ কিছু মানুষ। তবে দু’জন ব্যক্তি মমতায় কোন রকম প্রাণে বাঁচলেও শেষ পর্যন্ত চিড়িয়াখানার খাঁচায় জায়গা হয়েছে বন্য অজগরটির।

৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বেঙ্গল ডিসকাভারের কাছে আসা এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, জীবন বাঁচাতে নানান জায়গায় আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে অজগরটি।

জানা গেছে, সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার অধীন আমানবাজারের বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনের নর্দমা থেকে বেরিয়ে সড়কে আসে অজগরটি। দেখামাত্র এটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে উদ্যত হয় কিছু মানুষ। তবে স্থানীয় দোকানি মো. ওসমান ও আবদুল মোতালেব নামের দুই ব্যক্তি সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, “বিকেল ৪টায় দিকে মো. ওসমান নামের এক ব্যক্তি উদ্ধার করা অজগরটি চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করেন। অজগরটি সুস্থ আছে ও খাঁচায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।”

“বনাঞ্চল উজাড় হওয়াতে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে আসছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। প্রায়ই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা এই প্রাণীগুলোকে নির্বিচারে মেরে ফেলা হয়, যা খুবই দুঃখজনক,” উল্লেখ করেন ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।

তবে অজগরটি যেহেতু বন্যপ্রাণী এটিকে আবারও বনে মুক্ত করা হবে কিনা- প্রশ্নের জবাবে কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বেঙ্গল ডিসকাভার-কে বলেন, “অনেক দিন না খাওয়াতে এটি দুর্বল মনে হচ্ছে। এটির চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা বন বিভাগকে বিষয়টি অবগত করবো।”

এদিকে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন বিভাগের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, “বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী অজগরটিকে চিড়িয়াখানায় রাখার নিয়ম নেই। বন্যপ্রাণীর দেখভাল করার এখতিয়ার শুধু বন বিভাগের। আগামীকাল এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিতে বিভাগীয় বন বিভাগকে অবগত করবো।”

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকা থেকে কোন বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এলে হত্যা না করে প্রশাসনকে জানাতে ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করা হয়েছে বলে জানান হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।