আহত একটি পথ ঘোড়া চিকিৎসার আশায় হাজির হয়েছিল থানায়। শুক্রবার, ৫ মার্চ এমনই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায়। তবে ঘোড়াটিকে নিরাশ করেননি থানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। দ্রুতই ব্যবস্থা করেন সুচিকিৎসার।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর সোয়া একটার দিকে একটি পথ ঘোড়া থানার মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করে। সিড়ির পাঁচটি ধাপ বেয়ে মূল ভবনের ভিতরে ঢোকার সময় সামনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা ঘোড়াটিকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে বাঁধা উপেক্ষা করে ডিউটি অফিসারের কক্ষের সামনে এসে দাঁড়ায় ঘোড়াটি। কর্তব্যরতরা একাধিকবার তাড়ানোর চেষ্টা করলেও ঘোড়াটি ডিউটি অফিসারের ফটকের সামনে থেকে সরাতে ব্যর্থ হন।
স্থানীয় সাংবাদিক হেলাল আহম্মেদ রিপন জানান, “চিকিৎসার জন্য থানায় আগত ওই পথ ঘোড়াটির পেছনের বাম পায়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায় থানায় গিয়ে ডিউটি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল প্রাণীটি। পরে থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চিকিৎসককে খবর দেন। সেবা পেয়ে ফের ফিরে যায় ঘোড়াটি। উপস্থিত পুলিশ সদস্যসহ সাধারণ মানুষেরা হতবাক করেছে এ ঘটনা।”
থানার ডিউটি কর্মকর্তা উপ পুলিশ পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, “ঘোড়াটি তাড়ানোর চেষ্টা করেও যখন সরছে না, তখন লক্ষ্য করলাম ঘোড়ার পিছনের বাম পা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আহত কোন মানুষ থানায় আসলে উর্ধ্বতন কর্মকতাকে জানাতে হয়। সে অনুযায়ী অফিসার ইনচার্জ আল মামুনকে অবগত করা হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘোড়াটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দেন।”
চিকিৎসক আ. আজিজ বলেন, “আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে থানায় এসে ঘোড়াটিকে ডিউটি কর্মকর্তার অফিস কক্ষের সামনে যখন দেখতে পাই। তখন এটির বাম পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। ধারালো কোন কিছুর আঘাত থেকে ক্ষতটি হয়েছিল হয়তো। ঘোড়াটির ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে ব্যথানাশক ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ওষুধ লাগিয়ে দিলে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে থানা থেকে বেরিয়ে যায় ঘোড়াটি।”
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন বলেন, “একটি পথ ঘোড়া আহত হয়ে থানায় এসেছিল চিকিৎসা সেবা নিতে। যা আমাদের পুলিশ সদস্যদের মুগ্ধ করেছে। সেবা পেয়ে নিজ গন্তব্য নিজে নিজেই চলে যায় ঘোড়াটি, যা রীতিমত অবাক করেছে।”